জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দিনে-দুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চ থেকে মীর মশাররফ হোসেন হলগামী সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তিনজন কিশোরকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা। আটকদের মধ্যে একজন রিকশাচালক (১৭), দ্বিতীয়জন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীর ছেলে (১৪) এবং অন্যজন পার্শ্ববর্তী ডেইরি ফার্ম হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৩)।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টায় স্কুলপড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসে। মুক্তমঞ্চের পাশের সড়ক দিয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের দিকে যাওয়ার সময় রিকশাচালক ছেলেটি তাদের পথরোধ করে পরিচয় জানতে চায়। ভুক্তভোগীরা বহিরাগত নিশ্চিত হওয়ার পর কিশোর রিকশাচালক ঘটনাস্থলে তার পূর্বপরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীর ছেলেকে ডেকে আনে। উভয়পক্ষ সেখানে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীর ছেলে। ভুক্তভোগীদের সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের “সিনিয়র” পরিচয়ে সেখানে উপস্থিত হয় অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী।
এ সময় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন নামে এলাকার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। এরই মধ্যে নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে ছিনতাইয়ে অভিযুক্তদের হাতেনাতে আটক করেন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন বলেন, “আমরা দুইজন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। মুক্তমঞ্চের পাশে গেলে আমাকে একজন ডেকে নিয়ে যায়। আমার কাছে পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। কথা বলার একপর্যায়ে আমার কাছ থেকে মোবাইল ও ৩০০ টাকা কেড়ে নেয় তারা। নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হলে মোবাইল ফোনটি ফেলে দেয় তারা।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, “দিনের বেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এ ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ছিনতাইয়ের খবর পেয়ে আমাদের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হন এবং তাদের আটক করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। আমরা আপাতত তাদের পুলিশে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”