পাওনা টাকা চাওয়ায় বরগুনা সদর উপজেলার পাতাকাটা গ্রামের মা-মেয়েসহ তিন নারীকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. ইলিয়াছ এর বিরুদ্ধে। আহতরা হলেন- পাতাকাটা গ্রামের মেয়ে সুমনা, মা রুনা বেগম ও মামি হেলেনা। আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, রবিবার আগে সকাল ১১টার দিকে ইলিয়াছের বাড়িতে পাওনা টাকা চাইতে গেলে প্রথমে সুমনাকে চর থাপ্পর মারেন ইলিয়াছ। এরপর আটটার দিকে উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামে সুমনার বাড়িতে মেম্বর ইলিয়াছের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল গিয়ে হামলা চালিয়ে মা-মেয়েসহ তিন নারীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
আহত সুমনা অভিযোগ করেন, "গত ইউপি নির্বাচনে ইলিয়াছ মেম্বার আমার মায়ের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ধার নেন। সেই টাকা আজ কাল ফেরত দেবেন বলে ঘুরাতে থাকেন তিনি। এরপর রবিবার সকালে আমি তার বাড়িতে গিয়ে টাকা চাইলে তিনি আমাকে মারধর করেন"।
সুমনা আরো অভিযোগ করেন, "সকালে টাকা চাওয়ার কারণে রাতে ইলিয়াছ মেম্বারের নেতৃত্বে তার পোষা সন্ত্রাসী সজিব, সুজন, সাগর, সাইফুল, রাব্বি, রাকিব, আরিফ ও রিয়াজসহ ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের বসতঘরে হামলা চালায়। এসময় আমার মা ও মামিকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। ইলিয়াছের ছুরির আঘাতে আমার মাথা কেটে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করান"।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বদরখালী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ও ইউপি সদস্য ইলিয়াছের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট"। কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার বিষয়ে জানতে চাইলে পরে তিনি পরে দেখা করবো বলে দ্রুত ফোনটি কেটে দেন। পরবর্তীতে আবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, "এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"।