ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু’র নির্বাচনে ছাত্রলীগ মনোনীত প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক (জিএস)পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ভাই গোলাম রুহানীর বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গোলাম রুহানী বাংলাদেশ পুলিশের ৩৬তম ব্যাচে এএসপি হিসেবে সারদায় প্রশিক্ষণে আছেন।
প্রার্থী ও ভোটারদের অভিযোগ, এএসপি গোলাম রুহানী ডাকসু ভোটে তিনি প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে টিএসসি, মধুর ক্যান্টিনসহ বিভিন্ন হলে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে গোলাম রাব্বানীর ভাই গোলাম রুহানীকে।
ডাকসু নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সমর্থিত জিএস প্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজির বলেন, "ছাত্রলীগের জিএস প্রার্থী শুরু থেকেই কোনও আচরণবিধি মানছেন না। তিনি মসজিদে গিয়ে ভোট চেয়েছেন, জগন্নাথ হলের উপাসনালয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। প্রভাব দেখিয়ে তারা প্রতিনিয়তই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। এখন তার এএসপি ভাই সরকারি চাকরিবিধি না মেনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।"
তিনি আরও বলেন, একজন এএসপি হিসেবে গোলাম রুহানী ক্যাম্পাসে এসে প্রচারণা চালানোয় ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিবেশ বিরাজ করছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এগুলোর ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সারদা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, ৩৬তম ব্যাচের মিডটার্ম শেষ হয়েছে। গত ৮ মার্চ থেকে ছুটিতে আছেন এই ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীরা। আগামী ১৭ মার্চ তারা একাডেমিতে ফেরবেন।
সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে কোনও প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালানো সরকারি চাকরিবিধি বহির্ভূত বলে জানিয়েছেন সারদা পুলিশ একাডেমির একাধিক কর্মকর্তা।
সারদা পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল মো. নজিবুর রহমান বলেন, "কোনও অফিসার শুধু আমাদের ট্রেনিংয়ে থাকা অবস্থায়ই নয়, কোনও সরকারি কর্মকর্তা কারও পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এটা সরকারি চাকরিবিধি বহির্ভূত। তিনি যদি ভোটার হন সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ভোট দিতে পারবেন। কারও পক্ষে প্রচারণা চালাতে পারবেন না।"
অভিযোগের বিষয়ে জানতে এএসপি গোলাম রুহানীকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "ঢাকায় আসছি, কাজ করছি ডাকসু নিয়ে।"
প্রথমে ‘ডাকসু নিয়ে কাজ করছেন’ বলে স্বীকার করলেও সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পর তিনি বলেন, "আমি ওভাবে করছি না। ভাইকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি। ভাইকে তো পরামর্শ দিতেই পারি।"
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ডাকসু নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।