ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)-র নব নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে শুভেচ্ছা জানাতে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেলে টিএসসি অডিটেরিয়ামের মঞ্চে উঠে কুশল বিনিময় করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসু ভিপি পদে পরাজিত প্রার্থী রেজওয়ানুল হক শোভন। তবে শোভনের সঙ্গে হাত মেলাতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন আরেক পরাজিত ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান। নুরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর কোলাকুলি করেন শোভন।
এরপর মঞ্চের আরেক দিকে বসা স্বতন্ত্র জোট থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অরণির উদ্দেশে তিনি হাত বাড়ান। সৌজন্যতার খাতিরে শোভনের বাড়ানো হাত না ফেরালেও তার সঙ্গে একত্রে ছবি তুলতে রাজি হননি অরণি। শোভনের সঙ্গীরা এ আবদার করেছিল।
তবে ছবি তুলতে আপত্তি জানিয়ে অরণি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসীর সঙ্গে ছবি তুলি না।’’ বিব্রত শোভন সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চ ছেড়ে চলে যান। অরণি ও শোভনের আলাপচারিতার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকসু নির্বাচনের পরদিন মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকেল ৪ টার দিকে নুরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে টিএসসির অডিটেরিয়ামের মঞ্চ থেকে নেমে আসেন শোভন। কিছুদূর এগিয়ে গেলেও ঘুরে আবার মঞ্চে ওঠেন তিনি। মঞ্চের শেষ প্রান্তে বসা অরণির সামনে দাঁড়িয়ে শোভন সৌজন্য দেখিয়ে তার কুশল জিজ্ঞেস করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, শোভনকে আসতে দেখেও নিজের ফোনে মগ্ন ছিলেন অরণি। এসময় শোভন হাত বাড়িয়ে দিলে স্মিত হেসে সৌজন্যতা রক্ষা করে হাত মেলান অরণি। এরপর সেখানে ছাত্রলীগের এক কর্মী শোভন, অরণিসহ অন্যদের ছবি তুলতে চান। তখন অরণি বলে ওঠেন, ‘‘না ভাই, কালকে (১১ মার্চ) রোকেয়া হলে এই লোক নিজে বলছে মার, ধর, ( মোবাইল ফোন দেখিয়ে বলেন) আমার কাছে এভিডেন্স আছে। এই লোকের সঙ্গে ছবি তুলবো না। আমার রুচি এত খারাপ হয় নাই।’’ বিব্রত শোভন সঙ্গে সঙ্গে তার সঙ্গীদের নিয়ে সেখান থেকে চলে যান।
পেছন থেকে অরণি তখনও বলতে থাকেন ‘‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ছবি তুলি না।’’ শোভন চলে গেলে অরণির সঙ্গীরা করতালি দিয়ে তার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।