ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সময় রোকেয়া হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গোলযোগের ঘটনাটি গুজবের কারণে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হয়ে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রভোস্ট অধ্যাপক জিনাত হুদা।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রোকয়ো হলের প্রভোস্ট বলেন, "ওইদিন হলে যা ঘটেছে তা 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' অথবা 'গুজবের' কারণে হয়ে থাকতে পারে। ব্যালট বাক্স সিল মারার প্রক্রিয়া কী হবে ভোটের আগে তা নিয়ে দ্বিধার মধ্যে থাকায় ভোট গ্রহণ দেরিতে শুরু করা হয়।"
তিনি আরও বলেন, "ভোটের দিন সকালে গণমাধ্যমকর্মী এবং ছাত্রলীগসহ অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীদের সামনে ব্যালট বাক্স খুলে দেখানো হয়েছে। যার প্রমাণ আমাদের হাতে থাকা ছবিগুলো। কিন্তু ব্যালট বাক্স সিল করার প্রক্রিয়া নিয়ে আমার দ্বিধার মধ্যে ছিলাম। সেটা কীভাবে করবো এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েই আমাদের ভোট গ্রহণ শুরু করতে দেরি হয়েছে।"
রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. দিলারা জাহিদ বলেন, "আমাদের ব্যালট বাক্স সরবরাহ করা হয়েছিল ৬টি। কিন্তু বলা হচ্ছে ৯টি ব্যালট বাক্স ছিল, ৩টি গায়েব।"
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত একটি কাগজ দেখিয়ে তিনি বলেন, "এইখানে ৬টি ব্যালট বাক্স সরবরাহ করার কথা বলা হয়েছে। ট্রাংকে যেসব ব্যালট পেপার ছিল সেগুলো আমাদের দায়িত্বে ভোট কক্ষের পাশের একটি রুমে রাখা হয়েছিল। কারণ একসঙ্গে সাড়ে চার হাজার ব্যালট পেপার সামনে নিয়ে এনে রাখার প্রয়োজন ছিল না। অব্যবহৃত ব্যালট ক্রস চিহ্ন ছাড়াই রক্ষিত ছিল, ইনটেক। সেদিন যখন নুর, রাশেদরা এসে বললো রুম দেখাতে, আমরা সেটা তো পারি না। আমরা চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, প্রক্টর স্যারকে জানিয়েছি। চিফ রিটার্নিং স্যার নিজে এসেছেন তারপর দেখানো হয়েছে।"
এদিকে বুধবার (১৩ মার্চ) রাত থেকে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদার পদত্যাগ ও হল সংসদে নতুন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন পাঁচজন শিক্ষার্থী।