রাজধানী প্রগতি সরণিতে বাস চাপায় আবরার আহমেদ চৌধুরী নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সুপ্রভাত পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল, ঘাতক চালকের ফাঁসির দাবিসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে স্লোগান দিচ্ছে তারা।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করতে ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় রাজধানীতে সুপ্রভাত পরিবহনের কোনো বাস চলবে না বলে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অলরেডি বলে দিয়েছি এ বাস বন্ধ করতে।” এসময় তিনি আরো বলেন, “এ ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বাসের মালিকদের সংযুক্ত করা হবে। এছাড়া সড়কে শৃঙ্খলা আনা সম্ভব না। এ কাজটি আমরা খুব দ্রুত করবো।”
মেয়র আরো বলেন, “আগামী দুই মাস কিংবা সর্বোচ্চ ৩ মাসের মধ্যে এই জায়গায় আবরার চৌধুরীর নামে ফুটওভার ব্রিজ করে দেব। আপনারা আমাকে একটু সময় দেন। এ ঘটনায় আপনাদের মাঝে থেকে ২/৫ জনকে নিয়ে আমরা একটি কমিটি গঠন করবো। প্রয়োজনে আপনাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো। আপনাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করবো।”
শিক্ষার্থীদের এ ১২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে;
১. ১০ দিনের মধ্যে সুপ্রভাত বাসের চালক হেলপার ও মালিকের ফাঁসি।
২. সুপ্রভাত ও জাবালে নূরসহ যেসব বাস আজ এবং এর আগে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে সেসব বাসের রুট পারমিট বাতিল।
৩. বাসচালক ও হেলপারের ডোপ টেস্ট করতে হবে।
৪. বাসসহ গণপরিবহনের চালক হেলপারের আইডি কার্ড ভিজিবল করা।
৫. বসুন্ধরা আবাসিক/ যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে জেব্রা ক্রসিংসহ নিহত আবরারের ফুটওভার ব্রিজ করতে হবে দুই মাসের মধ্যে।
এদিকে, এ ঘটনার জের ধরে উত্তেজিত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ করে রাখায় রামপুরা থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
গুলশান থানার এসআই জাহাঙ্গীর জানান, সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে ‘সুপ্রভাত পরিবহনের’ একটি বাস আবরারকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।বাস চালক সিরাজুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।