রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় নির্বাচন শেষে সংঘটিত সশস্ত্র হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে রাঙ্গামাটি সার্কিট হাউজে বুধবার ৭ সদস্যের কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বাঘাইছড়ি থানায় অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৮ টা থেকে রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে তদন্ত কমিটির করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন (সদস্য প্রশাসন) আশীষ কুমার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ, মেজর আশরাফ উপ-অধিনায়ক বিজিবি বাঘাইহাট জোন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেক আহমেদ, চট্টগ্রাম ৩০ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক ও অধিনায়ক মো. নুরুল আমিন, রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম।
এই কমিটি বৃহস্পতিবার বাঘাইছড়ি উপজেলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করবে। এছাড়া ভবিষ্যতে এমন সহিংস ঘটনা রোধে কমিটির সদস্যরা সুপারিশ দেবেন। আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন তারা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় কংলাক ভোটকেন্দ্র থেকে ফেরার পথে নয় কিলো নামে স্থানে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত ৭ জন নিহত হন। ঘটনার তিন দিনের মাথায় বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার ওসি এম এ মঞ্জুর জানান, বাঘাইছড়িতে ৭ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ মামলা না করায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকতার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনের কথা উল্লেখ করে মামলা (নং-০২/তাং-২০-০৩-১৯) দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার কংলাকে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে বাঘাইছড়ি উপজেলায় ফেরার পথে বাঘাইছড়ির নয় কিলো এলাকায় নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বহন করা গাড়িতে গুলিবর্ষণ করলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে বাঘাইছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে, এই ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থার বিরাজ করছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ জানাতে পারেনি।