ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে হেয়ার স্টাইল করে চুল-দাঁড়ি কাটার উপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে উপজেলা শীল সমিতি। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ ও উপজেলা শীল সমিতির সভাপতি শেখর চন্দ্র শীল ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে স্টাইল করে চুল-দাঁড়ি কাটার ক্ষেত্রে জরিমানার বিধান রেখে নোটিশের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভূঞাপুর উপজেলা শীল সমিতি।
বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকায় বিষয়টি প্রকাশ হলে উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে শুক্রবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে প্রত্যাহার করে নেয় সমিতি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, "বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি জেনে ওসি সাহেবের সাথে আলোচনা করি। বিষয়টি নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। পরে আমি শীল সমিতির সভাপতি ও সম্পাদককে নিয়ে বৈঠক করি। বৈঠকে উক্ত নোটিশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়"।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর উপজেলা শীল সমিতির সভাপতি শেখর চন্দ্র শীল বলেন, "ইউএনও স্যার আমাদেরকে তার অফিসে যেতে বলেন। সেখানে যেয়ে আমরা ইউএনও স্যারের সাথে আলোচনা করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেই"।
"তবে বখাটে স্টাইলে চুল কাটা হবে না", যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, "কিছু অভিভাবক এবং শিক্ষকরা বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করেন যে, স্কুল-কলেজের কিছু শিক্ষার্থীরা বখাটে ছেলেদের অনুকরণ করে চুলের নানা ধরনের স্টাইল করছে, যা দৃষ্টিকটু। এ নিয়ে একাধিকবার অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্থানীয় সেলুন মালিকদের নিয়ে বৈঠক করে মৌখিকভাবে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় শীল সমিতি একটি নোটিশ জারি করে। এতে আমি স্বাক্ষর করে দেই। পরে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠায় আমি নোটিশ তুলে নিতে বলি"।
তবে, সমাজে মানানসই নয় এমন হেয়ার স্টাইল না করার জন্য ক্রেতাদের অনুরোধ জানাবেন বলে সেলুন মালিকরা ইউএনও'কে জানিয়েছেন বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্র নিশ্চিত করেছে।