কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের দক্ষিণ মগনামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র এলাকায় চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- আবুল হোছেন, ছাদেক, বদি, রমিজ। সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়দের দাবি, “নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট লুটের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের লোকজন এই ঘটনাস্থলে আসলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন বাধা দেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। গোলাগুলিতে উভয় পক্ষের চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে ভোটকেন্দ্রটির প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ওসমাণ গনি বলেন, “কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাইরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। যার কারণে ভোট শূন্য অবস্থায় রয়েছে কেন্দ্রটি। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।”
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া পাল্টা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে কিনা জানা নেই।” তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো জানান, “এখন ওই ভোট কেন্দ্রে ভোটাররা উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছে।” এছাড়াও জেলার অন্যান্য উপজেলা গুলোতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গত ১৮ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাজেক এলাকায় দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সড়কের ৯ কিলো এলাকায় হামলার শিকার হন নির্বাচনী কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এসময় সাতজন নিহত হন।