বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বনানী মোড় থেকে নয়মাইল জামালপুর পর্যন্ত ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে প্রায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার এলাকার একাধিক পয়েন্টে পিচ-পাথর দেবে গিয়ে সমতল সড়ক হয়ে গেছে উঁচু-নিচু। ফলে যান চলাচলে অসুবিধা এবং প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় জনগণ ও পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তার এমন অবস্থাকে আখ্যা দিয়েছেন ‘মহাসড়কে টিউমার’ নামে। বড় দুর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
বগুড়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, শিগগিরই মিলিং মেশিন দিয়ে কেটে মহাসড়কের এ দুর্দশা ঠিক করা হবে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাজাহানপুর উপজেলার বনানী মোড় থেকে উত্তরে নয়মাইল জামালপুর পর্যন্ত ঢাকা-বগুড়া মহাড়কের প্রায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পিচ ও পাথর দেবে গিয়ে সড়কের কোথাও কোথাও উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। ফলে কখনও কখনও চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
বগুড়া-শেরপুর রুটের নিয়মিত চলাচলকারী কয়েকজন চালক ও যাত্রী জানান, প্রতিদিনই ওই মহাসড়কে চলাচল করতে হয় তাদের। মহাসড়কের দু’পাশে পাথর ও পিচ দেবে গিয়ে কোথাও কোথাও ২ থেকে ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত উঁচু হয়ে গেছে। প্রায়ই এসব জায়গায় অন্য যানবাহনকে সাইড দিতে গিয়ে সড়কের অনাকাঙ্খিত উঁচু-নিচু জায়গার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে।
শাজাহানপুর এলাকার প্রাইভেট কার চালক মুরাদ জানান, বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের শাজাহানপুর উপজেলার প্রায় সাড়ে ৯ কিলোমিটার অংশের অনেক জায়গায়ই পিচ ও পাথর দেবে গিয়ে পাশে টিউমারের মত উঁচু হয়ে গেছে। এসব জায়গায় চলাচলের সময় চাকা সমতল জায়গায় না থাকায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী সবাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের এই ‘টিউমার’ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বগুড়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, ওভারলোডেড গাড়ির কারণে মহাসড়কের পাথর এবং পিচ সরে গিয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।
নির্মাণের সময় অধিক পরিমাণে ছোট পাথরের ব্যবহার এবং বিটুমিনের সঠিক মাত্রা না থাকায় এমন সমস্যা হয়।
শিগগিরই মিলিং মেশিনের মাধ্যমে উঁচু স্থানগুলো কেটে সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।