শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৫টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হাসিনুর রহমান কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক নোটিসে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
নোটিসটিতে বলা হয়েছে, “স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে উদ্ভূত অনভিপ্রেত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার স্বার্থে উপাচার্যের ক্ষমতা বলে ২৮ মার্চ থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস, পরীক্ষাসহ যাবতীয় একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।”
এদিকে এ নোটিসটি পাওয়ার পরই রাত তিনটায় শিক্ষার্থীরা সবাই হল ছেড়ে বের হয়ে আসেন এবং বিক্ষোভ করে এই নোটিসের প্রতিবাদ জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইমামুল হক স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও ফুল দেয়া ছাড়া আর কোনো অনুষ্ঠানে (মধ্যাহ্নভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান) শিক্ষার্থীদের রাখা হয়নি। এর প্রতিবাদ করা হলে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলেন ভিসি। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকেই এই আন্দোলনের সূচনা হয়।
তার ধারাবাহিকতায় ভিসির ওই উক্তি প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে উপাচার্যের পদত্যাগসহ ১২ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এরপরই এ ঘোষণা দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন- ভিসি বললেন ‘রাজাকারের বাচ্চা’, প্রতিবাদে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন