গরুর মাংস পরিবশেন করা হয় না, এমন সব খাবার হোটেল বর্জনের দাবিতে রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন হোটেল নিউ রাজধানী ও হোটেল রাজের সামনে “মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদ” নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
একই দাবিতে এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার বংশালে আল-রাজ্জাক হোটেলের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছিল সংগঠনটি।
গুলিস্তানের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির উপদেষ্টা আরিফ আল খাবীর, সভাপতি সাদমান সায়মন, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী উসমান আয়ুবী ও শাহজালাল।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা খাবার হোটেলে গরুর মাংস খেতে চায়। কিন্তু গরুর মাংসের ব্যাপক চাহিদা থাকার পরও গুলিস্তানের হোটেল নিউ রাজধানী ও হোটেলে রাজ কর্তৃপক্ষ হিন্দুত্ববাদীদের কথা বলে হোটেলে গরুর গোশত রাখে না। হিন্দুত্ববাদীদের কথা চিন্তা করে হোটেলকে গরুর মাংস না রাখা সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের খাদ্য অধিকার হরণ।”
তারা আরও বলেন, “আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারতে প্রতিনিয়ত গরুর মাংসের জন্য মুসলমানদের নির্মমভাবে শহিদ করা হচ্ছে। এই দৃশ্য দেখার পরও যে সব হোটেল মালিক হিন্দুত্ববাদীদের পক্ষ নিয়ে তাদের হোটেলে গরুর মাংস রাখে না, তারা ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দালাল ও বিজেপির এজেন্ট। তারা বাংলাদেশকে ভারত বানাতে চায়।”
সংগঠনটির নেতার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হলে খাবার হোটেলগুলো বাধ্যতামূলক গরুর মাংস রাখতে হবে। হোটেলে গরুর মাংস রাখা প্রমাণ করবে ওই হোটেল মালিক ভারত কিংবা হিন্দুত্ববাদীদের দালাল নয়। যদি কোনো হোটেলে গরুর মাংসের তরকারি না থাকে, তবে সে হোটেলটি হিন্দুত্ববাদী হোটেল ও ভারতের দালাল বলে প্রমাণিত হবে। সেই হোটেলটিকে সারাদেশব্যাপী বর্জনের ডাক দেওয়া হবে।”
এদিকে, সমাবেশকারীদের প্রতিবাদের মুখে “নো বিফ” নীতি থেকে সরে এসে গরুর মাংস রাখবে বলে জানিয়েছে হোটেল নিউ রাজধানী ও হোটেল রাজ কর্তৃপক্ষ।