কণ্ঠশিল্পী খুরশীদ আলম সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে বগুড়া শহরের চারমাথা ঝোঁপগাড়ি এলাকায় তাকে বহনকারী প্রাইভেট কারে অজ্ঞাত একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে।
খুরশীদ আলমকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। তবে অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ কারটি জব্দ করলেও শনিবার সকাল পর্যন্ত ট্রাকের সন্ধান পায়নি।
শিল্পীর ছোট ভাই মুরশীদ আলম ও অন্যরা জানান, খুরশীদ আলম শুক্রবার শহরতলির গোকুলে হোটেল মম ইন’এ জয়পুরহাট কল্যাণ ট্রাস্টের এক সম্মাননা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। তার সঙ্গে খোকন ও স্বাধীন নামে স্থানীয় দুই ব্যক্তি ছিলেন। শুক্রবার রাতে শহরের কলোনীতে চুন্নুর দোকানে কাবাব ও চাপ খেতে যান তিনি। পরে রাত ২টার দিকে শহর থেকে খোকন গাড়ি চালিয়ে খুরশীদ আলম ও স্বাধীনকে নিয়ে চারমাথা এলাকায় সেঞ্চুরি মোটেলে যান।
গাড়িতে খুরশীদ আলমকে বসিয়ে রেখে ওই দুজন প্রায় আধা ঘণ্টা ওই হোটেলে অবস্থান করেন। পরে রাত ৩টার দিকে তিনজন শহরতলির গোকুলে পাঁচ তারকা হোটেল মম ইন’র দিকে রওনা দেন।
গাড়িটি চারমাথার ঝোঁপগাড়ি এলাকায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে পৌঁছলে ঢাকাগামী অজ্ঞাত একটি ট্রাক ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে প্রাইভেট কারটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে খুরশীদ আলম ও অপর দুজন আহত হন।
শজিমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারী বিভাগের প্রধান সুশান্ত কুমার সাংবাদিকদের বলেন, খুরশীদ আলমের মাথায় রক্তক্ষরণ হয়নি। আঘাতে কয়েকটি দাঁত ভেঙে গেছে।
এ বিষয়ে শজিমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল জানান, শিল্পী খুরশীদ আলমের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। তিনি ভালো আছেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম রসুল জানান, প্রথমে খুরশীদ আলমের সিটি স্ক্যান করা হবে। এরপর পরিস্থিতি অনুসারে তাকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া তার চিকিৎসায় সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, দুর্ঘটনাকবলিত কারটি জব্দ করা হয়েছে। এখনও মামলা হয়নি।