গত বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে বাংলাদেশে আট বিভাগে ৮ হাজার ৪৬১টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে যার বেশিরভাগই ঘটেছে ঢাকা বিভাগে।
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বরাত দিয়ে ডেটাফুল নামের একটি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এসব অগ্নিকাণ্ডে ৫২৫ কোটি টাকার অর্থিক হয়েছে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আট বিভাগ তথা সারাদেশের মধ্যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি- ২ হাজার ৮৮টি এবং সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম- ১৯৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সারাদেশের অগ্নিকাণ্ড বিশ্লেষণ করে ডেটাফুল বলছে, এসব অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে ৩৯ শতাংশ আগুনের সূত্রপাত শট সার্কিট থেকে। এছাড়াও ১৮ শতাংশ গ্যাসের চুলা, ১৫ শতাংশ সিগারেট এবং বাকিগুলো অন্যান্য উৎস থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আওতাধীন এলাকায় প্রায় ৬৬ শতাংশ ভবন অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে কোনোটার একেবারেই অনুমোদন নেই। কোনো কোনোটা অনুমোদনের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে।
পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা না থাকায় এসব ভবনগুলোতে প্রায়ই ছোট-মাঝারি থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। যাতে হতাহতের পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ে দেশ।
সাম্প্রতিক অতীত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চকবাজারের ভয়াবহ আগুনে ৭০ জন মারা যায়। গত সপ্তাহে রাজধানীর অভিজাত এলাকা বলে খ্যাত গুলশান-বনানীতেও ঘটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এসবের মধ্যে বনানীর এফআর টাওয়ার ভবনে আগুনে ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এদিকে গুলশানের ডিএনসিসি কাঁচাবাজারের আগুনে হতাহত না হলেও পুড়ে যায় ব্যবসায়ীদের ২৯১টি দোকান।
অগ্নিকাণ্ডের এসব ঘটনাগুলোকে ভয়ানক বাস্তবতা আখ্যায়িত করে নগর পরিকল্পনাবিদরা সরকারকে অগ্নিকাণ্ড রোধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কমিটি গঠন করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো চিহ্নিত করে বেশি ঝুঁকিপূর্ণভবনগুলো অপসারণের পরামর্শ দিয়েছেন।