Sunday, April 20, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন সোমবার, আলোচনায় থাকবে যেসব বিষয়

ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলন চলবে চার দিনব্যাপী

আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৫তম সীমান্ত সম্মেলন আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই সম্মেলন চলবে চার দিনব্যাপী।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিজিবি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর এবং যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করবেন। অপরদিকে, বিএসএফ মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবেন। 

অন্যদিকে, ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করবেন।

এবারের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো/সীমান্ত হত্যা/আহত/ আটক/অপহরণ রোধ; ভারত হতে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান প্রতিরোধ; আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লংঘন করে অবৈধ অনুপ্রবেশ বিশেষ করে ভারত সীমান্ত দিয়ে বলপূর্বক বাস্তচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধ; সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়াসহ অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ ও চলমান অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের নিষ্পত্তি; আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী ৪টি খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন; জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সাথে রহিমপুর খালের মুখ উন্মুক্তকরণ; আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ক্যাম্পের সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়; সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য “সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (Coordinated Border Management Plan-CBMP)” কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হবে। 

তিন দিনব্যাপী আলোচনা শেষে ২০ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। সম্মেলন শেষে একই দিনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল দেশে ফিরবে।

   

About

Popular Links

x