Friday, April 18, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

২২ জন সচিব-অতিরিক্ত সচিবের পাসপোর্ট বাতিল

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২২ পিএম

বেশ কয়েকজন সচিব ও অতিরিক্ত সচিবের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই সাবেক সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

এর আগে, ২৫ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টদের পাসপোর্ট বাতিলের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়। সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব কাজী আরিফুর রহমান এতে স্বাক্ষর করেন।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পাসপোর্ট অর্ডার ১৯৭৩ এর ৭ (২)(সি) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিম্মোক্ত ২২ বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্ট বাতিল এবং তারা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

জানা গেছে, এসব কর্মকর্তাদের অনেককে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া ছাড়াও বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট বাতিল করে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।

প্রথম দফায় ২২ কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। এরা হলেন, সাবেক সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, আবু হেনা মোরশেদ জামান, কামরুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব হামিদুল হক, মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, ওয়াহিদুল ইসলাম, এসএম আলম, এনামুল হাবিব, শওকত আলী, রাব্বি মিয়া, ফয়েক আহমেদ, উম্মে সালমা তানজিয়া, সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস, দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ মাসুদ করিম, কামরুন নাহারা সিদ্দিকা, আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদাওস খান, তোফায়েল ইসলাম, আহমেদ কবির, সায়লা ফারজানা এবং তন্ময় দাস।

পাসপোর্ট বাতিল হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে আহমেদ কবির জামালপুরে, মোখলেসুর রহমান গোপালগঞ্জে, হামিদুল হক ঝালকাঠি, ওয়াহিদুল ইসলাম মাদারিপুর, আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদাউস খান মানিকগঞ্জ, সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস ময়মনসিংহ, রাব্বি মিয়া নারায়ণগঞ্জ, ফয়েজ আহাম্মদ বগুড়া, সায়লা ফারজানা মুন্সীগঞ্জ, উম্মে সালমা তানজিয়া ফরিদপুর, দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির গাজীপুরে জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের দায়িত্বকালে এসব জেলায় অনুষ্ঠিত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

অভিযোগ রয়েছে, পাসপোর্ট বাতিল হওয়া কর্মকর্তাদের বেশিরভাগই সাবেক সরকারের আস্থাভাজন ছিলেন। সে সময় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তারা ভোট কারচুপিতে জড়িত ছিলেন। পরে পুরস্কার হিসাবে দ্রুততম সময়ে তাদের পদোন্নতি ঘটে। এছাড়া অনেককে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করা হয়।

 

   

About

Popular Links

x