Friday, April 18, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষের ওপর হামলা

অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ-শিক্ষকরা কলেজের প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার পর থেকে এই হামলা শুরু হয়। বর্তমানে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা কলেজের প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন - কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞাসহ একাধিক শিক্ষক।

শুক্রবার নামাজ শুরুর আগেই স্থানীয় কিশোর ও যুবকরা কলেজের অধ্যক্ষের ওপর হামলা করে। এ সময় তারা অধ্যক্ষের গায়ে আঘাত করে। এ সময় পার্শ্ববর্তী নজরুল হলের শিক্ষার্থীরা জড়ো হলে তাদের ওপরও হামলা চালায় স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশ এলে স্থানীয়দের হামলায় প্রথমে পিছু হটে পরে আবার কলেজে প্রবেশ করে। তবে এখনও উত্তেজনা চলমান আছে।

কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক গাজী মুহাম্মদ গোলাম সোহরাব হাসান বলেন, “হামলায় অধ্যক্ষসহ শিক্ষকরা আহত হয়েছেন। আমাদের এখন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।” ইমামকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারি কলেজের ডিগ্রি শাখার মসজিদে তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়ের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে গত ২০ জানুয়ারি তাবলিগ জামাতের সাপ্তাহিক তালিম সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা দেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিনের মতবিরোধে ২১ জানুয়ারি সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন কলেজের নজরুল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ধর্মপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা।

এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ইমাম মো. মারুফ বিল্লাহকে নানান অভিযোগ তুলে অব্যাহতি দেয় কলেজ প্রশাসন। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ইমামকে চাকরিচ্যুত করার পর থেকেই কলেজে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রতি শুক্রবার নামাজের আগে ইমামকে বহালের দাবি করে আসছে স্থানীয় একটি পক্ষ। প্রতি শুক্রবারই শিক্ষকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে স্থানীয়দের ও কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের।

কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, “সেখানে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা শুনে পুলিশ গিয়েছে। আমিও যাচ্ছি।”

   

About

Popular Links

x