Thursday, April 17, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

কুয়েটের দুই প্রকৌশলীকে হুমকি, একজনকে মারধরের অভিযোগ

হুমকি ও মারধরের পর প্রকৌশলী দুজন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন

আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২৫, ১১:৪২ এএম

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য বরাবর বিএনপির স্থানীয় এক নেতার কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রকৌশলী। উপাচার্যের কাছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়ার অনুরোধ জানান তারা। এরপর এক প্রকৌশলী মারধরের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত খানজাহান আলী বিএনপির স্থানীয় এক নেতার কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, গত রবিবার মোবাইল ফোনে হুমকি পান তারা।

এরপর, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেন শেখ আবু হায়াত খানজাহান আলী।

জানা যায়, কুয়েটে একটি ভবনের ছাদের কাজ করা নিয়ে কুয়েটের দুই নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত ও মো. গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে মোল্লা সোহাগের বিরোধ চলছে। কাজে প্রকৌশলীদের আরও বেশি প্রফিট নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন ওই ঠিকাদার। এ কারণে প্রকৌশলীদের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, কুয়েটের ১৩ নম্বর ভবনের কাজের ছাদের ওয়াটার প্রুফিংয়ের কাজের দর প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের প্রকৌশলীরা বাজারদরের সঙ্গে সরকারি নিয়মানুযায়ী ভ্যাট, আইটি ও ১০% প্রফিট (দাপ্তরিকভাবে পূর্বনির্ধারিত) যুক্ত করে নির্ধারণ করা হয়। ১০% প্রফিটে আপত্তি ঠিকাদার মোল্লা সোহাগের। তাকে আরও বেশি প্রফিট দিতে হবে বলে মোবাইল ফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়াকে বলেন। এ কথা বলার পর প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু কোনো কথা না শুনে ফোনেই নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া ও নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন মোল্লা সোহাগ। এ অবস্থায় প্রকৌশলী দুজন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন।

প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াত বলেন, “সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তার বাড়ির পাশে মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া আল আকসা মসজিদ থেকে আসরের নামাজ পড়ে ফেরার সময় মোটরসাইকেলে সোহাগ মোল্লাসহ অন্য দুজন আসেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা আমার গায়ে হাত দেয় এবং আমার চশমা নিয়ে যান।”

এদিকে বিএনপি নেতা মোল্লা সোহাগ বলেন, “আসরের নামাজের পর আবু হায়াতের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়েছে। হায়াত জামায়াত সমর্থন করেন, আমি বিএনপির কর্মী। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। গায়ে হাত তোলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।” তিনি কোনো ধরনের ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত না বলে দাবি করেন।

   

About

Popular Links

x