ঢাকার শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়েছেন হাসপাতালের কর্মীরা।
সোমবার (১০ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান জানান। তিনি বলেন, “ভর্তি ছাত্রদের সঙ্গে স্টাফদের গন্ডগোল হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সেখানে অবস্থান করছে।”
সংঘর্ষের পর হাসপাতালের কর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলছিল।
হাসপাতালটির এক কর্মী বলেন, “বেশ কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর মধ্যে রবিবার রাতে ব্লাড ব্যাংকের কর্মী রফিককে মারধরের ঘটনা ঘটে।”
ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মীরা। এর মধ্যে তাদের ওপর হামলা হয় বলে দাবি করেন ওই কর্মী। নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি সংবাদমাধ্যমে নাম প্রকাশ করতে চাননি।
সংঘর্ষের সময় হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয়সহ হাসপাতালের বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। গুরুতর আহত অনেক রোগীকে চিকিৎসা ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
অভ্যুত্থানে আহতদের একজন জানান, তিনি ৫ অগাস্ট আশুলিয়া থানার সামনে আহত হন। এরপর থেকে তিনি এখানেই ভর্তি ছিলেন।
তিনি বলেন, “পুরো হাসপাতাল চালায় দালাল সিন্ডিকেট। এর বিরুদ্ধে কথা বলায় সকাল ১০টার দিকে ফিজিওথেরাপি নিতে যাওয়া আমাদের কয়েকজনের ওপর হামলা চালায় হাসপাতালের একদল কর্মচারী ও দালাল।”
হাসপাতালের ভেতরে জরুরি বিভাগের সামনেও সেনা সদস্যদের অবস্থান দেখা যায়।