Thursday, March 20, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের জলকামান-লাঠিচার্জ

যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা করলে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়

আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম

জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর জলকামান ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। তৃতীয় ধাপে বাদ পড়া এসব শিক্ষক প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত পাঁচজন শিক্ষক আহত হয়েছেন।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঘটনাটি ঘটে।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে দাবি আদায়ের জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছিলেন শিক্ষকরা। দীর্ঘদিনেও দাবি আদায়ের বিষয়ে ন্যূনতম আশ্বাস না পাওয়ায় তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের যমুনার দিকে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আগে থেকেই কদম ফোয়ারা মোড়ে সতর্ক অবস্থায় ছিল পুলিশ। বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের মিছিলটি কদম ফোয়ারা কাছাকাছি এলে পুলিশ তাদের বাধা দেয় এবং বোঝানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের বলে, এতজনকে একসঙ্গে নিয়ে বাসভবনের সামনে যাওয়ার সুযোগ নেই। আপনারা চাইলে কয়েকজন প্রতিনিধি মিলে সেখানে যেতে পারেন। কিন্তু তাতে তারা রাজি হননি।

পরে বাধা উপেক্ষা করে তারা সামনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করে। তাতেও ফেরানো যায়নি বেসরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের। এ সময় পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় অন্তত পাঁচজন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক আহত হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষক লিয়াকত আলী বলেন, “আমাদের দাবি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ। আমরা মিছিল করে যমুনার দিকে যাচ্ছিলাম কিন্তু আমাদের পানি মারা হলো। এতো বৈষম্য কেন? সরকার যদি যথাযথ ব্যবস্থা করতো তাহলে কিন্তু আমাদের রাস্তায় দাঁড়াতে হতো না।”

এর আগে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. ফিরোজ উদ্দিন বলেন, “বৈষম্যের শিকার হচ্ছে সারা বাংলাদেশের তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়া চলমান যোগ্য বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা অবস্থান করছি। ২০১৩ সালে সারা বাংলাদেশের ২৬,১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করলেও সমযোগ্যতা থাকার পরেও শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সারা বাংলাদেশের চলমান যোগ্য ৪ হাজারের অধিক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ে যায়। এরইসঙ্গে প্রায় ৮ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী তাদের মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয়েছে।”

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের এডিসি মীর আসাদুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “শিক্ষকদের আমরা অনেকবার বুঝিয়েছিলাম। তাদের বলা হয়েছে, তারা একটি প্রতিনিধি দল ঠিক করবেন, তাদের মূল বার্তা স্মারকলিপি আকারে মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। তারা এটাতে রাজি হয়েছিলেন। কথা ছিল তারা মোড় পর্যন্ত যাবেন, আবার ঘুরে আসবেন। কিন্তু আপনারা দেখেছেন, তারা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিলেন, যান চলাচল আটকে রেখেছিলেন। অনেকবার বলার পরও তারা কথা শোনেননি। যেহেতু রমজান মাস, রাস্তা ব্লক থাকায় অনেকের কষ্ট হচ্ছিল। তখন তাদের আস্তে আস্তে ঠেলে আমরা রাস্তার পাশে সরিয়ে দিই। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা পানি নিক্ষেপ করেছি।”

 

   

About

Popular Links

x