Saturday, April 19, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ঢামেকে ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ এজাজের মৃত্যু

 গত ১৫ আগস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে জামিনে মুক্তি পান এজাজ

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:১৬ পিএম

শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ওরফে ইমনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হেজাজ ওরফে এজাজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পুলিশ বলছে, শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

শনিবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ইফতারির সময়ে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছন নিহতের বাবা শাহ আলম এবং ঢামেক পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক। ঢামেক হাসপাতালে নিহত এজাজের ডায়ালাইসিস চলছিল বলে জানান তারা।

জানা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী এজাজ মারা যাওয়ার পরেই তারা পরিবারের সদস্যরা জোর করে হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ নিয়ে যায়। পরে রাত ৯টায় দিকে মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে আসে তারা। তবে এব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ওরফে ইমনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হেজাজ ওরফে এজাজকে শুক্রবার (১৪ মার্চ) মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবির ওয়ারী বিভাগ। পরে মিন্টু রোডে ডিবির প্রধান কার্যালয়ে এজাজ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে শনিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ডিবির ওয়ারী বিভাগের (ওয়ারী জোনাল টিম) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল করিম বলেন, “এ ব্যাপারে এখন ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলবো। এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।”

এর আগে সোমবার (১০ মার্চ) সেনাবাহিনীর ৪৬ পদাতিক ব্রিগেডের ২৩ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়ন মোহাম্মদপুরের রায়ের বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাজকে গ্রেপ্তার করে।

সেনাবাহিনী জানায়, দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ১৫ আগস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল ও ইমনের সঙ্গে জামিনে মুক্তি পান এজাজ। মুক্তির পর থেকেই তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।  

সূত্রে জানায়, কিছুদিন আগে এলিফ্যান্ট রোডে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও কোপানোর ঘটনার মূল হোতা ছিলেন এজাজ। এছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও কলাবাগান এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতেন তিনি।

   

About

Popular Links

x