ঢাকার খিলক্ষেতে ধর্ষণের অভিযোগে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের ওপর হামলায় চালায়। এতে খিলক্ষেত থানা পুলিশের পরিদর্শকসহ (তদন্ত) অন্তত ১২ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত ১১টার দিকে খিলক্ষেত বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খিলক্ষেত থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “রাত ১০টার দিকে খিলক্ষেত মধ্যপাড়া এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে মারধর করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসার পথে খিলক্ষেত বাজার এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে পরিদর্শক (তদন্ত) আশিকুর রহমান আশিকসহ অন্তত ১২ থেকে ১৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে অভিযুক্ত কিশোর ও আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।”
ছয় বছরের যে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে, তার ফরেনসিক সম্পন্ন শেষে প্রাথমিকভাবে নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) সমন্বয়ক ডা. সাবিনা ইয়াসমিন।
এ ঘটনায় গণপিটুনির শিকার হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন অভিযুক্ত কিশোরকে আটক দেখিয়েছে পুলিশ। তাকে পুলিশি পাহারায় ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রবিউলের মাথা শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। এই মুহূর্তে মব জাস্টিসের শিকার সেই কিশোরের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, “অভিযুক্তর অবস্থা সংকটাপন্ন। ঢাকা মেডিকেলে তাকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ছয় বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে।”