পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় এক কলেজছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার বলছে, গত মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাকিব মুন্সি (১৯) নামের এক তরুণকে আটক করেছে দুমকি থানা-পুলিশ।
ওই ছাত্রীর মা দুমকির একজন সাংবাদিককে মোবাইলফোনে জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে তার স্বামী গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার স্বামীকে দুমকি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার কলেজপড়ুয়া মেয়ে বাবার কবর জিয়ারত করে কাছেই নানাবাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় একই ইউনিয়নের আলগী গ্রামের মুন্সিবাড়ির কাছে পৌঁছালে স্থানীয় মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সিসহ (১৯) দুজন তার মেয়ের হাত-পা চেপে ধরে সড়কের পাশের একটি নির্জন বাগানে নিয়ে যান। এরপর ওই দুইজন ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের দৃশ্য তাদের মোবাইলফোনে ধারণ করেন এবং ধর্ষণের কথা কাউকে না বলতে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মেয়েকে ছেড়ে দেন তারা। তার মেয়ে ঘটনাটি এক সহপাঠীকে জানালে তার মাধ্যমে তারা দুমকি থানা-পুলিশের সহায়তা নেন।
দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, “মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।”
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাজেদুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অপর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে আমরা তৎপর আছি।”
দুমকির ইউএনও আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, “ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহিদ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনা শোনার পরপরই এলাকায় গিয়ে মেয়েটির খোঁজখবর নিয়েছি। এ ছাড়া তার পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে আশ্বস্ত করেছি।”