Saturday, April 19, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ভৈরবে দা-বল্লম-টেঁটা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ১৫  

এ সময় একপক্ষের সমর্থকরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে নিজেদের লোকজনকে জড়ো হতে বলেন

আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দা-বল্লম-টেঁটা নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে পৌর শহরের জগন্নাথপুর লক্ষ্মীপুরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আল আমিন, মিনারা বেগম, জিয়াসমিন আক্তার, মহিন মিয়া, শিপন মিয়া, মমতা বেগম ও অজুফা বেগম। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর আহত অজুফা বেগমকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

জানা গেছে, গত বুধবার জগন্নাথপুরের লক্ষ্মীপুরের ডেঙ্গাবাড়ির জীবন মিয়ার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেনেন একই এলাকার মাক্কুম মোল্লা ফ্যাক্টরির কর্মচারী জিহাদ মিয়া। পরদিন সন্ধ্যায় জীবন মিয়া টাকা না দিয়ে সেই ফোন জিহাদ মিয়ার কাছ থেকে ফেরত নেন। আগারবাড়ির শিপন মিয়া এর প্রতিবাদ করলে কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার সকালে সালিশ বসানো হয়। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে ফের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আগারবাড়ির সমর্থকরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে নিজেদের লোকজনকে জড়ো হতে বলে। এ ঘোষণা শুনে দুইপক্ষই দা, বল্লম, টেঁটা, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আগারবাড়ির পক্ষে তরি মোল্লার বাড়ির লোকজন যোগ দেন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় দুইপক্ষের ১৫ জন আহত হন। উভয়পক্ষের ২০টি দোকান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ফরহাদ মিয়া, কাল্লু মিয়া ও নাদিম মিয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে বিভিন্নজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে দোকানের মালপত্র তুলেছি। আমরা ঝগড়ায় ছিলাম না। এরপরও দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। বাড়িঘরেও হামলা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।

আগারবাড়ির শিপন মিয়া সংবাদমাধ্যম সমকালকে বলেন, “ডেঙ্গাবাড়ির জীবন চুরি করা ফোন জিহাদ নামে এক শ্রমিকের কাছে বিক্রি করে আবার ফেরত নেয়। প্রতিবাদ করলে হামলা করে। সকালে সালিশেও হামলা চালায় তারা। বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।”

জীবনের বাবা মুসলিম মিয়া বলেন, “আমার ছেলের দোকান থেকে আট হাজার টাকায় একটি ফোন কেনে জিহাদ। ওই সময় আগারবাড়ির কয়েকজন একটি দামি ফোন নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করতে গেলে আমার আরেক ছেলে জুম্মন ও তার বন্ধু মানিককে ধাওয়া দেয়। সকালে সালিশ বসলে সেখানেও আমাদের ওপর হামলা করে।”

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুহাদ রুহানী জানান, সেনা ও পুলিশসদস্যদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

About

Popular Links

x