Saturday, April 19, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

সিগারেটের ধোঁয়া নিয়ে বিরোধে হামলার শিকার ২ জনকে হাসপাতালেও মারধর-ভাঙচুর

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর কিশোর গ্যাংয়ের ৩ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:২০ এএম

সিলেটের মীরবক্সটুলা এলাকায় সিগারেটের ধোঁয়া ছোড়া নিয়ে হোটেল কর্মচারীদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার পর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে হামলা করা হয় দুই যুবকের ওপর। ওই সময় ভাঙচুর করা হয়েছে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশের ক্যাজুয়ালিটি ইউনিটের ফ্রন্ট ডেস্ক। পরে বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন হাসপাতালের কয়েকজন স্টাফ। 

তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর হামলাকারী ৩ জনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন উসমানী হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ।

সোমবার (২৪ মার্চ) রাত ৯টা ও ১১টার দিকে পৃথক এ ঘটনাগুলো ঘটে। 

জানা গেছে, সোমবার রাত ৯টার দিকে মীরবক্সটুলা এলাকার ভাই ভাই রেস্টুরেন্টের পাশে ধূমপান করছিল ওই রেস্টুরেন্টের কয়েকজন কর্মচারী। ওই সময় চা পান করতে আসা দুই যুবক তাদের সিগারেটের ধোঁয়া অন্যদিকে ছুড়তে বলেন। এতে তাদের কথা না শুনে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করা হয় যুবকদের ওপর। এ নিয়ে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।

আহত দুই যুবককে ওসমানী হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। কিন্তু রাত ১১টার দিকে রেস্টুরেন্টের কর্মচারীসহ কয়েকজন কিশোর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা সেবায় বাধা ও তাদের ওপর হামলা করে। বাধা দিতে গিয়ে আহত হন পুলিশের নায়েক সুবাশীষ, হাসপাতালের স্টাফ মিটু ও এক নারী নার্স। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে নগরের মীরবক্সসটুলায় দোকানে বসে চা পান করছিলেন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের দুই ব্রাদার্স। পাশেই সিগারেট খেয়ে ধোঁয়া ছাড়ছিল রেষ্টুরেন্টের স্টাফ হামলাকারীরা। সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে নিষেধ করা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যারে রেষ্টুরেন্ট থেকে হাঁতুড়ি, রড নিয়ে ১০/১২ জন কিশোর এসে হামলা করে। আহত অবস্থায় তারা ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে জরুরী বিভাগে এলে সেখানে এসেও হামলা করা হয়।

এসময় তারা নার্সদের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। আহতরা নার্স ও চিকিৎসকের সংরক্ষিত কেবিনে গিয়ে আশ্রয় নিলে চেয়ার তুলে আঘাত করে হামলাকারীরা। তাৎক্ষণিক হাসপাতালের ক্যাম্প পুলিশও পরিস্থিতি নিরসনের চেষ্টা করলেও তাদের আঘাত করা হয়। পরে আরও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়।

হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দাস বলেন, “হামলাকারীরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তাদের ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যরা পালিয়ে গেছে। সিগারেট খাওয়ার পর ধোঁয়া ছাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। কিন্তু হামলাকারীরা চিকিৎসারত অবস্থায় প্রতিপক্ষের ওপর আবারো হামলা চালায়। এসময় তাদের হামলায় নার্স, ব্রাদার ও পুলিশ আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।”

   

About

Popular Links

x