Saturday, April 26, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

অপহরণ ও ‍মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ডিবির ৫ সদস্য বরখাস্ত

ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আরএমপি কমিশনার

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩২ এএম

বগুড়ায় অপহরণ মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেলে আরএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান সিদ্ধান্ত নেন।

বিষয়ে পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, ‘‘তারা কোনো অভিযানে যায়নি বা কাউকে জানিয়েও যায়নি। নিজেদের ইচ্ছায় গিয়েছে এবং সেখানে আটক হয়েছে। ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিকেলে আমি তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছি। এখন তদন্ত হবে, এরপর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- আরএমপির গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম বাশির আলী। এছাড়াও তাদের সঙ্গে থাকা মাইক্রোবাসচালক মেহেদী হাসানকেও আটক করা হয়েছে।”

নগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল বলেন, “ওই পুলিশ সদস্য আরএমপির ডিবিতে কর্মরত। গতরাতে আমি রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অফিসে ছিলাম, কিন্তু তারা আমাকে কিছু না জানিয়েই বগুড়া গেছে। কেন গিয়েছে, তা তারাই ভালো বলতে পারবে।”

জানা যায়, বগুড়ার কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের বীরগ্রাম এলাকা থেকে ৫ জন পুলিশ সদস্য তাদের মাইক্রোবাসচালককে আটক করে। সময় তাদের কাছ থেকে নগদ লাখ টাকা পুলিশের একটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়।

বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) জেদান আল মুসা জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রবিবার ধুনট উপজেলায় গিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগে দীঘরকান্দি গ্রামের রাব্বী জাহাঙ্গীর নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেন। এরপর শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় গাড়ি থামিয়ে তাদের কাছে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দর-কষাকষির পর নগদ লাখ এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরও লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরে বগুড়া জেলা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে শেরপুর শাজাহানপুর থানার সহযোগিতায় মাইক্রোবাসটি আটক করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় শাজাহানপুর থানার বীরগ্রাম এলাকায় গাড়িটি আটক করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্তদের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেছেন আরএমপির গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত আবদুল ওয়াহাব নামে এক পুলিশ সদস্য। তিনি ছুটি নিয়ে দুই দিন আগে বগুড়ার ধুনটে নিজ গ্রামে যান। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওই ৫ জন সেখানে গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

   

About

Popular Links

x