দুইদিন নিখোঁজ থাকার পর ঢাকার দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে হামিম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আহসান উল্লাহর (৪৮) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আহসান উল্লাহ তুরাগের চন্ডালভোগ এলাকার মৃত মজিদ আহমেদের ছেলে। তিনি তুরাগ এলাকাতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে দিয়াবাড়ির ১৬ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর সড়কের পাশের রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টে, মাথা, মুখমণ্ডল, হাতের আঙুল ও পায়ে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা হয়েছে।
তুরাগ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত আহসান উল্লাহ ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় হামিম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে জিএম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তুরাগ থানার ওসি মোহাম্মদ রাহাৎ খান বলেন, “নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল। দুপুরে খবর আসে দিয়াবাড়িতে রাস্তার পাশে একটি মরদেহ পড়ে আছে। পরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়, খোঁজ নিয়ে ও সুরতহাল কালে পরিবারের তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, মরদেহটি নিখোঁজ থাকা আহসান উল্লাহর।”
তিনি বলেন, “নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার সম্ভাব্য কারণ অনুসন্ধানপূর্বক জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।”