ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফলে বাড়ছে টোল আদায়ের পরিমাণ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু থেকে দুই কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা টোল আদায় করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এর বিপরীতে ২৯,২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “এর মধ্যে টাঙ্গাইলের যমুনা সেতু পূর্ব অংশে ১৫,৩৫৪টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় ১ কোটি ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টাকা এবং সিরাজগঞ্জ সেতু পশ্চিম অংশে ১৩,৮৭৯টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০ টাকা।”
এদিকে, ঈদ যাত্রার দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ চাপ বেড়েছে। মহাসড়কে যানবাহন অতিরিক্ত চাপ থাকলেও স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করছে।
মহাসড়কের সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঈদযাত্রার গতকাল মঙ্গলবারের চেয়ে দ্বিতীয় দিনে বুধবার মহাসড়কের যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সকাল থেকে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
আহসানুল কবীর পাভেল আরও বলেন, “মহাসড়কে যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।”
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, “মহাসড়কে প্রায় সাড়ে ৭০০ পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এর মধ্যে মোবাইল টিম, মোটরসাইকেল টিম দায়িত্ব পালন করছে। এ ছাড়া মহাসড়ককে চারটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। মহাসড়কে যাতে অতিরিক্ত ভাড়া নিতে না পারে সেদিকে নজরদারি রয়েছে।”