ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শিকারিকান্দা বাইপাস মোড় হয়ে ময়না মোড় হাক্কানি মোড়, পাটগুদাম ব্রিজমোড় থেকে শম্ভুগঞ্জের চায়না মোড় পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়তি যানবাহনের চাপে তৈরি যানজটে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। এর ফলে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বাসযাত্রী চামেলী বলেন, “সেহরি খেয়ে ফজর নামাজ পড়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি। সকাল ৭টায় গাজীপুরে চৌরাস্তা মোড়ে শেরপুরগামী বাসে উঠি। সকাল থেকে বাস ভালোভাবেই চলছিল। ময়মনসিংহের ভালুকার পর থেকেই বিভিন্ন মোড়ে যানজট। ময়মনসিংহে শিকারীকান্দা বাইপাস মোড়ে এসে প্রায় দুই ঘণ্টা যানজটের মধ্যে আটকে আছি। আমার মতো সব যাত্রীর একই অবস্থা।”
বাসচালক জামাল বলেন, “ঢাকা গাজীপুরের পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহের অংশেই যানজট বেশি। ময়মনসিংহের শিকারিকান্দা বাইপাস মোড় থেকে সম্মোহন চায়নামোড় পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটারের বেশি জায়গাজুড়ে সকাল থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তীব্র যানজটের কারণে গাড়ি একেবারেই আস্তে চালাতে হচ্ছে। গন্তব্য পৌঁছাতে এ কারণে অনেক সময় লেগে যাবে। রমজানে যাত্রীরাও অস্থির হয়ে থাকেন।”
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল আলম বলেন, “একসঙ্গে অনেক বেশি যানবাহন সড়কে নেমে পড়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।”