বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার আসামি হয়েছে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ডা. আবদুল মান্নানকে। মৃত্যুর দুই মাস পর তাকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানায় করা মামলায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। তিনি মামলার ৫৮ নম্বর আসামি। মামলার প্রধান আসামি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, আর দ্বিতীয় আসামি সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বাদশার ছেলে রুয়েট কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান দীপন। মামলায় মোট ১২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ৩০০-৩৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলাটির বাদী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী আব্দুল আলীম দুলাল (২২)। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।
মৃত ব্যক্তিকে আসামি করা প্রসঙ্গে বাদীর ভাই জামায়াত কর্মী শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের মুরুব্বিরা সবকিছু করেছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে হলে মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন সরকার বলেন, “মামলা সম্পর্কে আমি তেমন কিছু জানি না, আগে খোঁজ নিয়ে তারপর বলতে পারব।”
বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, “আসামির তালিকায় মৃত ব্যক্তি আছেন কি-না, সেটা খতিয়ে দেখব। যদি সত্যি এমন হয়ে থাকে, তাহলে অভিযোগপত্র দাখিলের সময় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।”
রাজশাহী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ইয়াসিন আলী মোল্লা বলেন, “মরেও শান্তি নেই! একজন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আসামি করা হয়েছে, এটা নিন্দনীয়। তিনি জীবদ্দশায় মানুষকে সেবা দিয়েছেন, অথচ তার নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে, এটা দুঃখজনক।”