গত কয়েকদিন ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। সকাল ৯টায় ঢাকার বাতাস ১৭৪ একিউআই স্কোর নিয়ে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে।
বায়ুদূষণে ঢাকা যেখানে সবসময় বিশ্বে এক কিংবা দুই নম্বরে থাকে, সেখানে আজ (শুক্রবার) পঞ্চম স্থানে রয়েছে। যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য হুমকির কারণ।
আইকিউএয়ারের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, ২১৭ একিউআই স্কোর নিয়ে আজ (শুক্রবার) বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু।
এছাড়া ২১০ একিউআই স্কোর নিয়ে তার পরেই অবস্থান ইরাকের বাগদাদ, আর ২০২ নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তখন তাকে ‘‘ভালো’’ বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এরপর একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে ‘‘মাঝারি’’ এবং ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর” হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে তা ‘‘অস্বাস্থ্যকর” হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘‘খুব অস্বাস্থ্যকর’’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘‘বিপজ্জনক’’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের ফলে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।