সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেতে এখন থেকে নারীদেরকেও কমপক্ষে স্নাতক পাস শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এই বিধান রেখে পুরাতন বিধিমালা সংশোধন করে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯’ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে উচ্চ মাধ্যমিক সনদ দিয়েই নারীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে পারতেন।
সংশোধিত বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনের বয়সসীমা ২১ থেকে ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের বিধিমালা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য ২৫ থেকে ৩৫ বছর এবং সহকারী শিক্ষক পদের জন্য ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত আবেদন করার বিধান ছিলো।
বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ এপ্রিল স্বাক্ষরিত এই বিধিমালা মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) প্রকাশ করা হয়েছে।
সংশোধিত বিধিমালায় আগের মতোই সরাসরি এবং পদোন্নতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংশোধিত বিধিমালায় বলা হয়েছে, সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদের ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী, ২০ শতাংশ পোষ্য প্রার্থী এবং অবশিষ্ট ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করা হবে। প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে হবে। তবে বিজ্ঞান ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের দিয়ে ওই ২০ শতাংশ কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে তা পূরণ করা যাবে। প্রধান শিক্ষক ৬৫ শতাংশ পদ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ৩৫ শতাংশ পদ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। তবে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতিযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া যাবে।
আরও বলা হয়, সহকারী শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির বিবেচনায় আসবে। আর সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে সরাসরি।
সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, কাউকে কোনও পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে আগে নিয়োগ দেওয়া হলে এবং ওই পদে তিনি অব্যাহতভাবে নিযুক্ত থাকলে তার জন্য প্রযোজ্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা শিথিলযোগ্য।
বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের ১৪তম গ্রেডে বেতন দেওয়া হয়।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকের পদ তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। সেসময় থেকে থেকে প্রধান শিক্ষকের ৩৫ শতাংশ পদে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হয় সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে।