ফেনীতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা করা সেই মাদ্রাসাছাত্রীর অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ঢাকা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।
আহত সেই মাদ্রাসা ছাত্রীর জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রধান ডা. আবুল কালাম ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, “মঙ্গলবারের তুলনায় তার শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। তবে চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, “ইতোমধ্যেই বুধবারের রিপোর্ট সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। তবে সেখান থেকে কোনো নতুন আপডেট আসেনি।” আগের ওষুধই চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
গত শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যায় ওই ছাত্রী। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে ৪/৫ জন বোরকা পরিহিত ব্যক্তি ওই ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। বর্তমানে ওই ছাত্রীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
এর আগে ঐ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গত ১ এপ্রিল যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন ঐ শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে গ্রেফতার হন ঐ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। ঐ ছাত্রীর পরিবারের দাবী অধ্যক্ষের নির্দেশেই আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।