বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ডিসি হিলে প্রতিবছর বর্ষবরণের যে অনুষ্ঠান হয়, এবার হামলা ও মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনার পর সে অনুষ্ঠানটি হয়নি।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাতের দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার ডিসি হিলের নজরুল স্কয়ারে অনুষ্ঠানস্থলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাচেষ্টাকারীরা অনুষ্ঠানের আয়োজকদের “ফ্যাসিবাদের দোসর” বলে দাবি করেছে। হামলাচেষ্টার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ডিসি হিলের এ অনুষ্ঠানটি চট্টগ্রামে বর্ষবরণের অন্যতম প্রধান আয়োজন হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বিবেচিত হয়ে আসছিল। সোমবার সকাল থেকেই ডিসি হিলে অবস্থান নিয়ে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী টিটু জানিয়েছিলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ জনের যুবক “স্বৈরাচারের দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান” স্লোগান নিয়ে মঞ্চের দিকে আসেন। একপর্যায়ে তারা ডেকারেশনের কাপড় ও ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং মঞ্চের পেছনের কাপড়ও ছিঁড়ে ফেলেন।”
হামলার পর পুলিশ সদস্যরা এসেছেন। তবে সোমবার অনুষ্ঠান করার মতো অবস্থা আর ছিল না বলে জানান তিনি। টিটু বলেন, “ডিসি অফিসে মিটিংয়ের সময় উপস্থিতদের মধ্যে কয়েকজন হামলার সময়ও ছিলো বলে শুনেছি আমি। মঞ্চের পিছনের ডিজাইন তারাই ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে। বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আমরা বাতিল করছি। কারণ রিস্ক নেওয়া যাবে না।”
কিন্তু সকাল থেকে অনেক সাধারণ মানুষ বৈশাখী সাজে ডিসি হিল এলাকায় জড়ো হলেও অনুষ্ঠান না হওয়ায় তারা ফিরে যান।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় বর্ষবরণ র্যালি বের করা হলেও সেখানে মানুষের অংশগ্রহণ ছিল খুবই কম। চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় শিরীষতলায় নববর্ষ উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শুরু হলেও এবারে তেমন লোক সমাগম হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।