রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা চাঁদাবাজির একটি মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন সকালে মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন।
পিপি ওমর ফারুক ফারুকী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “চাঁদাবাজির অভিযোগে ১৫ এপ্রিল মামলাটি হয়। মেঘনা আলম ও তার পূর্বপরিচিত ব্যবসায়ী মো. দেওয়ান সমির এই মামলার আসামি। আজ এই মামলায় মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে মেঘনা আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”
আইন উপদেষ্টা: মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়নিএর আগে, বুধবার (৯ এপ্রিল) রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, আদালত মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটকাদেশ দেন।
এরপর, রবিবার (১৩ এপ্রিল) মেঘনা আলমকে আটকের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে তার বাবা বদরুল আলম হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।
হাইকোর্ট: মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়ওই রুলে পরোয়ানা ছাড়া বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার, কারণ না জানিয়ে গ্রেপ্তার, ডিবি কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রাখা ও আইনজীবীর সুযোগ না দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দেওয়া আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা-ও জানতে চান আদালত।
