ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধের প্রজ্ঞাপনের নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন ব্যাখ্যা অনুসারে, গত ১৩ এপ্রিল বা এর আগে ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানির জন্য যারা ঋণপত্র খুলেছেন, তারা আগের মতো স্থলবন্দর দিয়ে ওই সুতার চালান খালাস করতে পারবেন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এত দিন বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ ছিল। গত ১৫ এপ্রিল এনবিআর স্থলপথে সুতা আমদানির সুবিধা বন্ধ করে দেয়।
যারা ১৩ এপ্রিল বা এর আগে ঋণপত্র খুলেছিলেন, তারা কী করবেন- এ নিয়ে মাঠপর্যায়ের অস্পষ্টতা দূর করতে নতুন ব্যাখ্যা দিল এনবিআরের শুল্ক বিভাগ।
এনবিআরের নতুন আদেশে বলা হয়েছে, যেসব আমদানিকারক ১৩ এপ্রিল বা তার পূর্বে সুতা আমদানির ঋণপত্র স্থাপন করেছেন বা উক্ত তারিখের পূর্বে সুতা আমদানির ঋণপত্র সংশোধন করেছেন, সেসব ঋণপত্রের পণ্য চালান উক্ত প্রজ্ঞাপনের (১৩ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপন) আওতায় পড়বে না।
ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করলো এনবিআরসুতার সূক্ষ্মতা ও স্থূলতা পরিমাপ হয় কাউন্ট দিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশের স্থলবন্দরে সুতার সূক্ষ্মতা ও স্থূলতা মাপার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই। ফলে অনেক আমদানিকারক মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বেশি কাউন্টের সুতা এনেছেন।
শুল্ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থলপথে সুতা এলে প্রকৃতভাবে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা কঠিন। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য চলে আসে। তাই সমুদ্রপথে সুতা আনলে আমদানির প্রবাহ এক জায়গা দিয়ে হয়, তাতে শুল্ক কর্মকর্তা ও আমদানিকারকদের জন্য সুবিধা হয়।
