জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শনাক্তে ছায়া তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ঢাবির একদল শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে ৩৪ সদস্যের এই ছায়া তদন্ত কমিটির ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তদন্ত কমিটিকে ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘তারা যদি এ নিয়ে কাজ করে কিছু তথ্য প্রমাণাদি বের করে, তাহলে তো আমি বলব এটা আমাদের তথ্যানুসন্ধান কমিটির কাজকে সহায়তা করবে।’’
লিখিত বক্তব্যে ঢাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত বলেন, “১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে হামলার শিকার ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি ছায়া তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান কাজ হবে জুলাই–আগস্টে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা। এক মাসের মধ্যে শ্বেতপত্রটি প্রকাশ করা হবে।’’
এ সময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের উপযুক্ত তথ্য–প্রমাণ দিয়ে হামলাকারীদের তালিকা প্রণয়নে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান রেজওয়ান আহম্মেদ।
সংবাদ সম্মেলনে রেজওয়ান আহম্মেদ আরও বলেন, ‘‘সময় যত যাচ্ছে, তথ্য–প্রমাণ মুছে যাচ্ছে। তাই আমরা একটা শ্বেতপত্র তৈরি করে রেখে দিতে চাই, যেন আগামী প্রজন্ম মনে রাখে যে কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল। আমরা এটা পরে প্রশাসনের কাছে জমা দেব। প্রশাসন চাইলে আমাদের রিপোর্ট বিবেচনায় নিয়ে তদন্তে নামতে পারে। অনলাইনে উসকানি দেওয়া, ফেসবুক মেসেঞ্জারে হামলার বিষয়ে ইন্ধন দেওয়ার ব্যক্তিদেরও এ তালিকায় রাখা হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি শিক্ষার্থী সর্দার নাদিম মাহমুদ বলেন, ‘‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হাজারখানের ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী হামলা চালান। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটিতে আমরা মাত্র ১২৮ জনের নাম পাই। তাই আমাদের এই উদ্যোগ।’’
ছায়া তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- রেজওয়ান আহমেদ রিফাত, নাজিমুদ্দিন সাইফ, স্মৃতি আফরোজ সুমি, মিনহাজুল আলী ঈশান, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ঐতিহ্য আনোয়ার ওহী, রওনক জাহান, জাহেদ হোছাইন, রুহুল আমিন রবিন, আবু মিশাল, সর্দার নাদিম মাহমুদ শুভ, আরিফুর রহমান, আহমেদ তানভীর, মো. আরমান হোসেন, মোনতাকিম তালুকদার, মাহমুদ রিদওয়ান, বায়েজিদ হাসান, এ এ এম মোজাহিদ, মো. দেলোয়ার হোসেন, তাপসী রাবেয়া, রাকিব রহমান, মো. মুঈনুজ্জামান, মুসআব আব্দুল্লাহ খন্দকার, মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, মো. পাভেল আহমদ, নাফিসা তাবাসসুম মিথিলা, পারভেজ গাজী, মো. রুবায়েত হাসান রিমন, ইমরান সাদমান, আবু উবাইদা আব্দুল্লাহ খন্দকার, মো. জহির রায়হান, মো. মারুফ হাসান, মো. তরিকুল ইসলাম ও ওমর ফাইয়াজ তামিম।