প্রথমে দুই গাড়িকে ধাক্কা। এরপর পালাতে গিয়ে মুন্সীগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে উড়ে যায় বাসের ছাদ। ধরা পড়ার ভয়ে চালক হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। ওই অবস্থায় আতঙ্কিত যাত্রীদের নিয়েই বাসটিকে ৫ কিলোমিটার চালিয়ে নিয়ে ঢুকে পড়েন অন্ধকার গ্রামে। এমন ঘটনায় হতবাক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। এতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। তবে ছাদ উড়ে যাওয়ার পরও বাস চালনোর ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় চালক, সহযোগী ও বাস মালিককে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে হাসাড়া হাইওয়ে থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে এ মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসাড়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী।
তিনি জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি থানায় জব্দ রয়েছে। এ ঘটনায় আসামিদের আটক ও পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। বাসটি ফিটনেস ছিল কি-না সে বিষয়েও তদন্ত চলছে।
“বরিশাল এক্সপ্রেসওয়ে” নামের ওই বাসের এক যাত্রী বলেন, “রাত ৮টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের কামারখোলা রেল ফ্লাইওভারের ওপর প্রথমে সামনে থাকা একটি মাইক্রোবাস ও কভার্ড ভ্যানকে ধাক্কা দেয় দ্রুতগতিতে চলতে থাকা বাসটি। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। আতঙ্কিত চালক পেছনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। পরে সমষপুরে এক্সপ্রেসওয়ের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাসের ছাদ উড়ে যায়। এ সময় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাসটি থামানোর অনুরোধ করেন। কিন্তু তারপরও না থেমে চালক প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ চালিয়ে যান।”
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা দেওয়ান আজাদ বলেন, “এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে আহত ৮ জনকে উদ্ধার করেছি। বেপরোয়া বাসটির গতি মাঝেমধ্যে কমলে তারা লাফিয়ে নামেন।”