লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় স্বামীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়েছেন এক নববধূ।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে আদিতমারী থানায় এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করা হলে এ তথ্য জানা যায়।
অভিযুক্ত নববধূ নাম রুমানা খাতুন (২৯)। একই উপজেলার সাপ্টিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী হোসেন আলী আদিতমারী উপজেলার তালুক পলাশী গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় নববধূ রুমানা খাতুন, ঘটক জোবাইদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও লালমনিরহাট পৌরসভার কাজি আমজাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন হোসেন আলী।
অভিযোগে হোসেন আলী জানান, এক বছর আগে তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। এর কয়েক মাস পর দ্বিতীয়বার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বুধবার অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম ও ঘটক জোবাইদুল তাকে পাত্রী দেখানোর জন্য লালমনিরহাট শহরে নিয়ে যান। সেখানে স্বামী পরিত্যক্তা রুমানাকে দেখানোর পর পছন্দ হলে তাৎক্ষণিক এক লাখ টাকা দেনমোহরে কাজি আমজাদ হোসেন সরকারের অফিসে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের রাতেই রুমানাকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে রুমানা তার বাবার অসুস্থতার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় তামাক বিক্রির এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। সন্ধ্যা হওয়ার পরও রুমানা না ফেরায় ও তার মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় হোসেন আলীর। বাড়িতে গিয়ে ঘরের বিছানা এলোমেলো অবস্থায় পান তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও অভিযুক্ত ঘটক জোবাইদুল ও রুমানার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়দের দাবি, রুমানাসহ বাকিরা একটি বড় চক্রের অংশ। তাদের প্রধান কাজই হলো বিভিন্নভাবে তরুণদের বিয়ের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়া।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবর বলেন, “এটি প্রতারণা ও চুরি চক্রের নতুন কোনো কৌশল হতে পারে। অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”