রাজধানী ঢাকার কদমতলী থানার সুফিয়া হাসপাতালের পাশের একটি বাসায় সুমন মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল ৪টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সুমন পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। তিনি কদমতলীর মান্ডা এলাকায় স্ত্রীর সঙ্গে বসবাস করতেন।
নিহত সুমন মিয়ার বোন রেবা বেগম জানান, আমার ভাই রাজধানীর মান্ডা এলাকায় থাকতো। গতকাল রাতে আমার ভাই আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সে সবার অগোচরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। পরে আমরা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানায় আমার ভাই আর বেঁচে নেই।
তিনি আরও বলেন, “আমার ভাই মোবাইলে জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল। আমরা ধারণা করছি মোবাইলে জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে এই ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকতে পারে। সে পাইলিং এর কাজ করতো। দেড় বছর আগে সে বিয়ে করে।”
নিহতের ফুফাতো বোন আকলিকা আক্তার বলেন, “আমার ভাই প্রেম করে দেড় বছর আগে বিয়ে করেছেন। তিনি একজন অটোরিকশাচালক ছিলেন।”
সুমনের স্ত্রীর বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, “সে মোবাইল ফোনে গেইমসে জুয়া খেলতো। এভাবে সে বাসায় থাকা ৩৪ হাজার টাকা হারিয়েছে। এসব নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। পরে গতকাল সোমবার আমাদের বাসায় বেড়াতে আসে। পরে মঙ্গলবার সকালে আমাদের অগোচরে ফ্যানের সঙ্গে কাপড় পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “সে সময় বাসায় শিশু ছাড়া কেউ ছিল না। আশপাশের লোকজন তার মরদেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশ ও স্বজনদের খবর দেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহটি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ অবগত আছে।