Tuesday, July 15, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

‘হাত ধরে ক্ষমা’ চাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন

আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় “হাত ধরে ক্ষমা” চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে টানা তিন ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১০ জুন) ভোরে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে সোহেলের জমি থেকে শসা চুরি করে হাতেনাতে আটক হয় জালাল মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া। পরে চুরির বিষয় হৃদয়ের পরিবারকে অবহিত করে সোহেলের পরিবার। এরপর হৃদয়ের পক্ষের লোকজন সোহেলের লোকদের কাছে “হাত ধরে ক্ষমা” চায়। কিন্তু এই “হাত ধরে ক্ষমা” চাওয়াকে অবমাননা হিসেবে দেখেন হৃদয়ের পক্ষের মাতব্বর মীর্জা আলী। তিনি বিষয়টি দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মঙ্গলবার ভোরে সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারী ও শিশুসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সুহেল মিয়ার পক্ষের আহতরা হলো- জুয়েল মিয়া, সুহেল মিয়া, লুদন মিয়া, জসিম মিয়া, কাউছার মিয়া, আরমান মিয়া, সালমান মিয়া, সালাম মিয়া, তুহিন বেগম, জুনাইদ মিয়া, ফকির চান বেগম, ফারুক মিয়া, সবুজ মিয়া, মুন্না মিয়া, ইমরান হোসাইন, সফর আলী, জিহাদ মিয়া, পিন্টু মিয়া, জাফর মিয়া, সুলেমান মিয়া ও সজিব মিয়া।

অন্যদিকে হৃদয় মিয়ার পক্ষের আহতরা হলেন- তোতা মিয়া, সরাজ মিয়া, জালাল মিয়া, ফুলজাহান বেগম, রাব্বি মিয়া, সাদেক মিয়া, সেলিম মিয়া, রজব আলী, কাউছার মিয়া, আলম মিয়া, আমীর আলী, ডালিম মিয়া, সেলিম মিয়া, রজব আলী, কাউছার আলী, আলম আলী, আমির আলী, ডালিম মিয়া, শামীমা আক্তার, ইনন মিয়া, ছফিল উদ্দিন, উত্তম মিয়া, আক্তার মিয়া, আজাদ মিয়া, নুরল হক, এনামুল হক, এনাব আলী, দুলাল মিয়া, জিলু মিয়া, সোরাব আলী, উজ্জ্বল মিয়া, মুরসালিন সরকার, রাজ্জাক সরকার, সুমন সরকার, হাফিজ মিয়া, এমরান আলী, নাবিন আলী, ফজু মিয়া, আকিক মিয়া, সাহেদ মিয়া ও নজরুল হক সরকার।

আহতদের একাংশকে হবিগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হৃদয় মিয়ার পক্ষের মীর্জা আলী ও তার ছেলে রাকিবুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা শসা চুরির অভিযোগ দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। আত্মরক্ষা করতে গিয়ে আমরা অন্তত ৪০ জন আহত হই।”

অন্যদিকে, সুহেল মিয়ার ছেলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “রাতে হৃদয় আমাদের জমি থেকে শসা চুরি করে। তাকে ধরার পর বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়। কিন্তু উল্টো তারা আমাদের লোকজনদের ওপর হামলা করে।”

নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম বলেন, “শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আহতের সংখ্যা ২০ জন বলে জানতে পেরেছি।”

   

About

Popular Links

x