সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ ভারতের অভ্যন্তরে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিন দিন আগে সোমবার তিনি বিয়ে করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমা এলাকার ভারতের সীমান্তে তার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা।
নিহত জাকারিয়া আহমদ (২৩) উপজেলার উৎমা সীমান্ত এলাকার লামাগ্রামের আলাউদ্দিন আলাইয়ের ছেলে। উপজেলার উৎমা এলাকার বিপরীতে সীমান্তের ১২৫৮ পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছে জাকারিয়ার লাশ ঝুলছে বলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) উৎমা বিওপি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) সমন্বয়ে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি।
জাকারিয়ার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে জাকারিয়া বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১২৫৭ নম্বর মেইন পিলারের ২০ নম্বর ছাব পিলারের নিকটবর্তী ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছের ডালে দড়িতে ঝুলন্ত একটি মরদেহ দেখা গেছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত ব্যক্তির পরিবার মরদেহটি জাকারিয়ার বলে শনাক্ত করে।
গত সোমবার একই ইউনিয়নের কাকরাইল গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে জাকারিয়ার বিয়ে হয়।
বিজিবির উৎমা ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জাকারিয়ার মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “ঘটনাস্থল যেহেতু ভারত সীমান্তে পড়েছে, তাই কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”