সিলেট, সুনামগঞ্জ ও লালমনিরহাট- এই তিন জেলার সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৬ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোরে সংশ্লিষ্ট সীমান্ত এলাকায় দায়িত্বরত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাদের আটক করেন।
সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ২০ জন এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ৭ জনকে ঠেলে পাঠানো হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সবাই বাংলাদেশি বলে জানতে পেরেছে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মিনাটিলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ঠেলে পাঠানো ১৯ জনকে আটক করে বিজিবি। তারা সবাই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
বিজিবির ৪৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, “প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঠেলে পাঠানো সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তারা বিভিন্ন সময় অবৈধ পথে ভারতে গিয়েছিলেন। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রামে। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে জৈন্তাপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।”
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়াকোট সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ। তাদের মধ্যে ১৯ জনের বাড়ি কুড়িগ্রামে এবং ১ জন পাবনার।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, “সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানোর পরপরই তাদের আটক করে বিজিবি। তাদের ছাতক থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।”
এদিকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ৭ জনকে ঠেলে পাঠানো হয়েছে। পরে তাদের আটক করে বিজিবি। আটকের পর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের সবার বাড়ি খুলনার দৌলতপুর উপজেলায়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “পুশ ইন করা ৭ জনকে থানায় দিয়েছে বিজিবি। তারা সবাই বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পর তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”