ঢাকা লিট ফেস্ট ২০১৮ এর তৃতীয় ও সর্বশেষ দিন বিকেলে বাংলা একাডেমির একেএসবি অডিটোরিয়ামে হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী টিল্ডা সুইনটন ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক আহসান আকবরের সাথে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন। তিনি স্কটল্যান্ডের মোরে কোস্টে অবস্থিত তার প্রতিষ্ঠিত ড্রামডুয়ান স্কুল নিয়ে আলাপ করেন। এই স্কুলে বিশেষ ধরনের শিক্ষা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে আসার জন্যে তার উদগ্রীবতা জানিয়ে শুরু হয় টিল্ডার আলাপ। তিনি বলেন, “ গতবছর লিট ফেস্টে এসে এবার আবার আসার পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেম”। একইভাবে পরের আয়োজনেও তিনি থাকবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
মিলনায়তন কানায় কানায় পূর্ণ হওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “দর্শকদের এরকম বাঁধভাঙ্গা অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো উৎসবই উৎসব হয়ে উঠতে পারেনা"।
এরপর টিল্ডা স্কটল্যান্ডের মোরে কোস্টে অবস্থিত তার প্রতিষ্ঠিত ড্রামডুয়ান স্কুল নিয়ে আলাপ করেন। এই স্কুল কিভাবে কাজ করে এবং এর বিশেষ শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এই স্কুল কিভাবে চলে তা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। উল্লেখ্য যে এই স্কুলে কোনো পরীক্ষা দিতে হয়না। ড্রামডুয়ান স্কুলের প্রথম ব্যাচ হিসেবে গতবছর ১৬ জন শীক্ষার্থী বের হয় যাদের মধ্যে ১৫ জনই বিশ্বের বিভিন্ন নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গীত থেকে শুরু করে মেডিক্যাল বিষয়েও ভর্তি হয়।
তিনি আনন্দের সাথে জানান, এই ১৬ জনের মধ্যে তার জমজ ছেলে মেয়েও আছে যারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মনোবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনা করছে। এই স্কুল স্কটল্যান্ডের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে দিতে চাচ্ছে এবং এ নিয়ে স্কটল্যান্ডের সরকারের সাথে ইতোমধ্যে আলোচনাও হয়েছে।
দ্যা ড্রামডুয়ান স্কুলের পাঠ্যক্রমে কিছু ভিন্ন ধরণের উপাদান রয়েছে যার মধ্যে অন্যতম হলো ছাত্রছাত্রীদের ১৬ বছর বয়সের আগে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ধরতে দেওয়া হয়না।
ড্রামডুয়ান স্কুল ছেলেমেয়েদের সাত বছর বয়সে ভর্তি করা হয় এবং ১৯-২১ বছর বয়স পর্যন্ত এখানে তাদেরকে শেখানো হয়।
টিল্ডা বলেন, “এই স্কুলের মূল বিষয় হলো ছাত্রছাত্রীদেরকে শিক্ষা দেয়া হয় অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে”।