দেশে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর ভোমরা স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম এক লাফে ৪৭ টাকা বৃদ্ধি পায়। এতে প্রভাব পড়ে সারাদেশের খুচরা বাজারে। কিন্তু পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির দায় না নিয়ে একে অপরের দিকে আঙ্গুল তুলছেন আমদানিকারকেরা।
সূত্রে জানা গেছে, ভারতের কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরুত্ব কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানির জন্য বেছে নেন এই বন্দরকে। রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা পর একদিনের ব্যবধানে ৫২ টাকার পেঁয়াজ পাইকারী ব্যবাসয়ীরা কিনতে বাধ্য হয় ১০০ টাকায়। পরে তারা এই পেঁয়াজ পাইকারী ১১০ থেকে ১১৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি করে। পরবর্তী সময়ে প্রশাসনের নজরদারির পর দাম কিছুটা কমে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়। বেশিরভাগ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর অভিযোগ, স্থলবন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করার ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাতক্ষীরা বড় বাজারের একাধিক পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর ভোমরা স্থল বন্দরের অধিক মুনাফালোভী কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধি করে দেয়। অনেক ব্যবসায়ী পেঁয়াজ থাকা সত্ত্বেও বিক্রি করতে চাচ্ছিলো না।
শহরের ইটাগাছা হাটের পেঁয়াজের খুচরা ব্যবসায়ী হাবিবুল্লাহ বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার সাথে সাথে বড় বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ীর পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি করে দেয়। বাধ্য হয়ে আমাদেরও বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। তাই আমাদের করার কিছু নেই।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশসাক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে। ভারত সরকার রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার আগে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে যে পরিমাণ পেঁয়াজ প্রবেশ করেছে তাতে পেঁয়াজ সংকট হওয়ার কথা নয়।
তিনি বলেন, বন্দরের আড়তগুলোতে মজুদ থাকা অধিকাংশ পেঁয়াজ বাজারে ছাড়া হয়েছে। এতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমবে। এ ছাড়া জেলার কোনো ব্যবসায়ী পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধি করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।