এর আগে, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এই তিনটি বাহিনীর প্রত্যেকেই বাণিজ্যিক ব্যাংকের লাইসেন্স পেয়েছে
ব্যাংকিং খাতে চলমান মন্দার মধ্যেই আরও “বাংলাদেশ মেরিটাইম ব্যাংক” নামে আরও একটি নতুন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকটির প্রস্তাবনা করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছ থেকে আমরা একটি ব্যাংক অনুমোদনের প্রস্তাবনা পেয়েছে। প্রস্তাবিত ব্যাংকের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের কাছে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) চেয়েছে।”
ব্যাংকের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তথ্য সরবরাহ করার পরেই চূড়ান্ত অনুমোদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এর সভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ব্যাংক কোম্পানি অ্যাক্ট-১৯৯১ অনুযায়ী, নতুন বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকার কম হওয়া যাবে না।
তবে মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, নতুন ব্যাংকগুলোর জন্য পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের আরেক কর্মকর্তা ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, “২০১৩ সালে আমরা নৌবাহিনীর কাছ থেকে ব্যাংকের প্রস্তাবনা পেয়েছিলাম। পরে দীর্ঘদিন ধরে তাদের কোনো আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়নি। কিন্তু এখন তারা লাইসেন্স পেতে আগ্রহী।”
এর আগে, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এই তিনটি বাহিনীর প্রত্যেকেই বাণিজ্যিক ব্যাংকের লাইসেন্স পেয়েছে।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ পুলিশ কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ নামে ব্যাংকের অনুমোদন পায়। সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন বেসরকারি ব্যাংকটি হলো ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড। বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ সদস্যদের আর্থিক সহায়তার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় সীমান্ত ব্যাংক। আর আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক হলো আনসার-ভিডিপি সদস্যদের সহায়তার জন্য সরকারি মালিকানাধীন বিশেষ একটি ব্যাংক।
মতামত দিন