এক কোটি টাকা লাভ করা সত্ত্বেও গত জুন থেকে স্যানিটাইজার উৎপাদন বন্ধ রেখেছে কেরু অ্যান্ড কোং
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে জীবাণুমুক্তকরণ উপকরণের বিপুল চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের একমাত্র ডিস্টিলারি কেরু অ্যান্ড কোং হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন শুরু করে।
প্রাথমিক অবস্থায় ১০০ মিলি বোতলের মূল্য মাত্র ৬০ টাকা ছিল যা অন্যান্য সব স্যানিটাইজারের তুলনায় অতি স্বল্পমূল্যের।
কেরুর ডিস্টিলারি ম্যানেজার ফিদা হাসান বাদশা ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “কেরু অ্যান্ড কোং বিগত মার্চ থেকে জুন মাস অবধি প্রায় ১.২ কোটি টাকা মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয় শুধুমাত্র স্যানিটাইজার বিক্রয়ের মাধ্যমে।”
তবে জুন মাস থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরে জানা যায় স্বল্প মূল্যের কেরু স্যানিটাইজার উৎপাদন, একই ধরনের বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। এছাড়া ছিল আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। স্যানিটাইজার উৎপাদন শুরুর একদিন পরই সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব জাহিদ আলী আনসারীকে বদলি করা হয় অন্যত্র।
বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প কর্পোরেশনের প্রধান বিপনন কর্মকর্তা মাযহারুল হক খান বলেন, “আমরা সীমিত সম্পদ ও লোকবলের অভাবের ফলে স্যানিটাইজারের বিপুল চাহিদার অনুপাতে ব্যাপকহারে উৎপাদনে সক্ষম ছিলাম না। তাছাড়া মাদকদব্য অধিদপ্তর সম্প্রতি স্যানিটাইজারের উপর আরোপিত কর বৃদ্ধি করায় আমাদের উৎপাদন ও বিপনণের ব্যাপারে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, অ্যালকোহল থাকার কারণে স্যানিটাইজারের উপর আরোপিত কর প্রতি লিটারে কর ২২ টাকা থেকে ১১৫ টাকা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প কর্পোরেশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ আরিফুর রহমান অপু ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “আমরা নতুন মোড়কে এবং নতুন দামে স্যানিটাইজার বাজারে আনার পরিকল্পনা করছি এবং এ সংক্রান্ত প্রস্তাব ইতোমধ্যে বোর্ডের সভায় পাস হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ইতোপূর্বে আমরা প্লাস্টিকের বোতলে বাজারজাত করলেও নতুন স্যানিটাইজার স্প্রেয়ার বোতলে আরও আকর্ষনীয় করে বাজারে ছাড়া হবে যেন তা মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে।
তার দেওয়া তথ্য মতে নতুন স্যানিটাইজারের ১০০ মিলি বোতলের বাজারমূল্য ১২০ টাকা হতে পারে।
কেরু অ্যান্ড কোং ২৩ মার্চ ২০২০ থেকে স্যানিটাইজার উৎপাদন শুরু করেছিল।
মতামত দিন