দর্শকদের সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনতে রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক এক হাজার কোটি টাকার পুনঃতফসিল ঘোষণা করেছে
বর্তমানে দেশের চলচ্চিত্র ব্যবসার খুব একটা ভাল সময় যাচ্ছে না। বিশেষ করে ক্যাবল টেলিভিশন ও ইন্টারনেট ভিত্তিক স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোর উত্থানের ফলে দেশের সিনেমা হলগুলোর অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। এতে করে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন হল মালিকেরা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক সিনেমা হলে দর্শক ফিরিয়ে আনার প্রকল্পে এক হাজার কোটি টাকার পুনঃতফসিল ঘোষণা করেছে।
মূলত গত বছরের ২৬ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বন্ধ হওয়া প্রেক্ষাগৃহ পুনরায় চালু করতে এবং বিদ্যমান হলগুলো সংস্কারের জন্য সিনেমা হল মালিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের উপর ভিত্তি করেই ২৬ জানুয়ারি বোর্ডের সভায় পুনঃতফসিল প্রকল্পটির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গতকাল (১৪ ফেব্রুয়ারি) তহবিলের জন্য নির্দেশিকা প্রকাশিত হয়।
এই প্রকল্পটি হল মালিকদের তাদের প্রেক্ষাগৃহের কাঠামোর সংস্কার ও আধুনিকীকরণের জন্য স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ প্রদানে সহায়তা করবে।
ঘোষণা অনুযায়ী, মহানগর অঞ্চলের সিনেমা হল মালিকরা তহবিল থেকে ৫% সুদে এবং মহানগর অঞ্চলের বাইরের মালিকরা ৪.৫% সুদে ঋণ পাবেন। দীর্ঘমেয়াদী ঋণে সুদের হার হবে ৯% এর আশপাশে।
প্রতিটি ঋণগ্রহীতা একক সিনেমা হলের বিপরীতে সর্বাধিক ৫ কোটি টাকা ঋণ পেতে সক্ষম হবেন।
হল মালিকরা ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত এক বছরসহ মোট আট বছরের সময় পাবেন। তারা প্রতি তিন মাসের মধ্যে একবার তাদের সমমানের কিস্তি পরিশোধ করতে পারবে।
তবে, ঋণগ্রহীতাদের পূর্বের কোনো খারাপ বিনিয়োগ থেকে উদ্ভূত কোনো দায়বদ্ধতা বা পূর্ববর্তী ঋণ পরিশোধের জন্য পুনঃতফসিল প্রকল্পের অর্থ ব্যবহারের জন্য নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আগ্রহী ব্যাংকগুলোকে এবং ঋণ নিতে ইচ্ছুক হল মালিকদের প্রকল্পটি থেকে তহবিল পাওয়ার জন্য আগামি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে।
ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকগুলিকে এই প্রকল্পের আওতায় কাজ করা অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মতামত দিন