দ্রুত কেটে ঘরে তোলার জন্য জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে রাতের আঁধারেই কাটা হচ্ছে সুনামঞ্জের হাওরাঞ্চলের ধান। জেলার প্রতিটি হাওরের জমিতে পাকা ধান দোল খাচ্ছে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য হাওরে এ বছর শ্রমিক সঙ্কট। অন্যদিকে, সীমান্তের ওপার থেকে পাহাড়ি ঢল নামার আশঙ্কায় জেলার লাখো কৃষকের চোখে ঘুম নেই।
তাই আগাম বন্যার হাত থেকে হাওরের বোরো ফসল রক্ষার্থে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে রাতের বেলায় ধান কাটা শুরু হয়েছে।
উদ্বোধনী দিনে সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের জোয়াল ভাঙ্গার হাওরে ধান কাটা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইয়াসমিন নাহার রুমা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফুল মিয়াসহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। প্রথম দফায় পর্যায়ক্রমে তিন কৃষকের জমির ধান কাটা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, জেলার বোরো ফসল রক্ষা ও হাওরের ধান কাটার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। সেজন্য জেলায় হারভেস্টর মেশিন দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। যেসব উপজেলায় রাতের বেলায় ধান কাটা সম্ভব সেসব উপজেলায় রাতের বেলাও ধান কাটা হবে বলে জানান তিনি।