Saturday, March 22, 2025

সেকশন

English
Dhaka Tribune

ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কিত কৃষক

ধানচাষি মাহবুবুর রহমান জানান, এবারে ভালো ফলন হয়েছে। ‍দুর্যোগ আসার আগে ধানকাটাও প্রায় শেষ। তবে ভালো দাম পাওয়া কিনা সেটি নিয়ে চিন্তায় আছেন তিনি

আপডেট : ১৫ মে ২০২০, ০৩:৫৭ পিএম

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সোনালি রং ধারণ করে বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে দোল খাচ্ছে ধানগাছ। তবে বৈরি আবহাওয়ার ও ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে বরাবরের মতোই শঙ্কিত কৃষকেরা। 

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ইতোমধ্যে মাঠের ৭৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। তবে চলতি বছর মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অন্য জেলা থেকে শ্রমিক আসতে না পারায় ফসল কাটতে কৃষকদের অবর্ণনীয় ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে। অনেক কৃষক অধিক টাকা ব্যয় করে জমির ধান কাটতে বাধ্য হয়েছেন। 

জেলার কয়েকটি মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মাঠের বেশিরভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। কিছু জমির ধান কাটতে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন কৃষকেরা। কেউ কেউ আবার কাটা ধান বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানান, চলতি রোরো মৌসুমে ১৪ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে ১৩ হাজার ৮শ ৯০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ৩৪ হাজার ৭২৫ জন কৃষক চলতি বছর রোরো ধান আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে ৭৫ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাজারে চিকন ধান ১০০০ থেকে ১০১০ টাকা মণ এবং মোটা ধান ৯৫০ থেকে ৯৬০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের জন্য ১০ হাজার ৪৭৩ জন কৃষকের প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে।  

কালীগঞ্জ উপজেলার মেগুরখিদ্দা গ্রামের ধান চাষি মাহবুবুর রহমান জানান, এবারে ভালো ফলন হয়েছে। ‍দুর্যোগ আসার আগে ধানকাটাও প্রায় শেষ। তবে ভালো দাম পাওয়া কিনা সেটি নিয়ে চিন্তায় আছেন তিনি।  

একই উপজেলার সিংগী গ্রামের কৃষক বাসু দাস জানান, তাদের ধান ধান কাটা শেষ করেছেন। এখন চলছে ধান ঝাড়া। কিন্তু ধানের ন্যায্য মূল্য পাবেন কিনা সেটি নিয়ে তারা শঙ্কিত।  

সিংগী গ্রামের অপর কৃষক প্রবীর দাস জানান, মৌসুম শুরু হওয়ার আগে ধানের দাম থাকে। কিন্তু নতুন ধান বাজারে উঠলেই দাম কমে যায়।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহিদুল করিম বলেন, “আগামী রবিবার থেকে সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হবে। চলতি মৌসুমে ২৫৪৪ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার ৪৭৩ জন কৃষকের তালিকা করা হয়েছে। সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে ২৫৪৪ জন কৃষককে চূড়ান্ত করে তাদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হবে। একজন মাত্র ১ টন ধান বিক্রি করতে পারবেন। কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান ক্রয় করা হবে।”

   

About

Popular Links

x